, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, , সময়ঃ২:২৯মিনিট

আমাদের সম্পর্কে

অবস্থান-বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশ। এদেশের রাজধানী ঢাকা এক সময়ে শুধু ‘মসজিদের শহর’ হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু উলামায়ে দেওবন্দের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টায় ঢাকা শহর আজ ‘মাদরাসার শহর হিসেবেও বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। এই ঢাকারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘মিরপুর’। বৃহত্তর মিরপুরের ১৩ নং সেকশন টিনশেড কলোনী এলাকায় আপন ঐতিহ্য নিয়ে স্বগৌরবে জামিয়া আরাবিয়া খাদিমুল ইসলাম (মাদরাসা) অবস্থিত।

জামিয়ার সূচনা ও কিছু কথা-১৯৮৫ ইং সাল। মিরপুরের এ অংশটি তখন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত প্রধান এলাকা। এখানকার কিছু দ্বীনদরদী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আল্লাহর ওলী হযরত হাফেজ্জী হুযুর (রহ.)-এর বরকতী তত্ত্বাবধানে স্বল্পপরিসরে একটি হিফজখানার অগ্রযাত্রা সূচিত হয়। তৎকালীন পরিচালনা পরিষদ প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার পিছনে যে নিরলস শ্রম দিয়েছেন, তা উল্লেখযোগ্য বটে। হযরত হাফেজ্জী হুযুর (রহ.)-এর পর এই প্রতিষ্ঠানে বরকতময় পদচারণা রেখে বারবার এর অগ্রগতি ও উন্নতির দোয়া রাখেন বাংলাদেশের অনেক ওলী আল্লাহ। এক পর্যায়ে এসে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের আরো অগ্রগতি এবং উন্নয়ণকল্পে দেশের স্বনামধন্য আলেম ও উলামাদের পরিচালনা এবং দিক-নির্দেশনায় ২০০১ সালে কিতাব বিভাগ চালু করে। প্রথমে শরহে বেকায়া পর্যন্ত খোলা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ওলামায়ে কেরামের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কুরবানীর বিনিময়ে এবং সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণের সহযোগীতা ও এলাকাবাসীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ বিভাগের সর্বোচ্চ ক্লাশ দাওরায়ে হাদীসের দরস খোলা হয়। তাছাড়া বর্তমানে ইফতা বিভাগ তথা উচ্চতর ইসলামী আইন বিভাগ ও ফারায়েজ বিভাগ এবং তাফসীর কোর্স চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান সাফল্যে জামিয়ার সুনাম-সুখ্যাতি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত ইলম পিপাসু ছাত্র হাদিস শরীফের মধু আহরণ করতে ও আধ্যাত্মিক শিক্ষালাভের তামান্নায় এই জামিয়া পানে দলে দলে ছুটে আসছে।

জামিয়ার আসাতিযায়েকেরাম ও শিক্ষার্থী-মহান রাব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় ভারত উপমহাদেশের এ শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দ-এর বাছাইকৃত কিছু ফারিগীন তথা দেশের শীর্ষস্থানীয় মেধাবি নবীন ও প্রবীন ওলামায়ে কিরামের প্রায় ৫০ জনের একটি নিঃস্বার্থ জামাত ৬০০ জন ইলমে নববীর সুধাপানে পাগলপারা এক বিশাল কাফেলাকে সকাল-সন্ধ্যা অত্যন্ত মনোযোগ ও ইখলাসের সাথে তা’লীম ও তরবিয়্যাত দিয়ে আসছে।

জামিয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-সাহাবায়ে কিরাম, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, আকাবিরে উম্মত তথা সলফে সালেহীনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কুরআন-হাদীস পরিপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করা। এমন একদল আলেম সৃষ্টি করা যাদের আমল-আখলাক, চাল-চলন সুন্নাতে নববীর নমুনায় হবে এবং সাহাবায়ে কিরাম ও আকাবিরে উম্মতের স্বার্থক উত্তরসূরী হিসাবে স্বীয় দায়িত্ব পালনে তারা সক্ষম হবে। ইসলামের উপর যুগসৃষ্ট প্রশ্ন ও সমস্যাবলীর সমাধান এবং ইসলামের সুমহান শিক্ষাকে অতীত বুজুর্গানে দ্বীনের পদাঙ্ক অনুসারী খোদাভীরু একদল যুগোপযোগী হক্কানী আলেম তৈরী করা। বুনিয়াদি শিক্ষার মাধ্যমে শিশু ও কিশোরদের ইসলামী ধাঁচে গড়ে তোলা আরবী ও দ্বীনি ইলমসমূহ তথা কুরআন মাজীদ, হাদীস শরীফ এবং দ্বীনি ইলমের সহায়ক ইলমসমূহ যথা তাফসীর, উসূলে তাফসীর, উসূলে হাদীস, উসূলে ফিকাহ আরবী সাহিত্য, বালাগাত, নাহু-ছরফ (আরবী ব্যাকরণ) ইত্যাদি ইলম সমূহের শিক্ষা প্রদান করা এবং এমন সব ইলমের শিক্ষা প্রদান করা যা আরবী ভাষার জ্ঞানার্জন অথবা দ্বীন ইসলাম প্রচারে সহায়ক ও পরিপূরক বলে বিবেচিত হয়। যথা মাতৃভাষা, বাংলা, উর্দু, ফার্সী, ইতিহাস, ধর্মতত্ত্ব ও বিভিন্ন মতবাদসমূহের অধ্যায়ণ। প্রয়োজনীয় গণিত শাস্ত্র, সমাজ বিজ্ঞান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও ইংরেজী ভাষা শিক্ষা দান। খৃষ্টান মিশনারী, কাদিয়ানী, বাহাই এবং সাহাবা দুশমনসহ সকল প্রকার বাতিল ফেরকার স্বার্থক মুকাবিলার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একদল আলেম গড়ে তোলা সাহিত্যের ময়দানে অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় আমাদের মধ্য হতে একদল কলম সৈনিক গড়ে তোলা এবং লিখনী অনুকরণে ইসলামী আখলাক আমল ও দ্বীনি প্রেরণা সৃষ্টি করা নৈশকালীন দ্বীনি শিক্ষার মান উন্নত করার মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষিতদের দ্বীনি শিক্ষা প্রদানে সুযোগ সৃষ্টি করা। ইলমে দ্বীনের প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থানে মাদরাসা ও  মক্তবগুলোর শিক্ষার মান উন্নত করার লক্ষ্যে সেগুলোকে জামিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করা। উল্লেখিত লক্ষ্য ও আদর্শ অনুযায়ী জামিয়ায় বর্তমানে নিম্নোক্ত বিভাগসমূহ সুচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে।

প্রাইমারী-মক্তব বিভাগ-এ বিভাগে সুযোগ্য উস্তাদদের সার্বক্ষনিক তত্ত্ববধানে আবাসিক ব্যবস্থায় সমাজের কোমলমতি, শিশু-কিশোরদের সহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন মাজিদ পড়ানো হয় এবং প্রাথমিক উর্দু, ফার্সীসহ পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা, অংক, সমাজ ও ইংরেজী শিক্ষা প্রদান করা হয়। একজন বিভাগীয় প্রধানসহ মোট ছয়জন শিক্ষক এ বিভাগে সার্বিক তত্ত্ববধানে নিয়োজিত আছেন।

হিফজুল কুরআন বিভাগ-এ বিভাগে একজন বিভাগীয় প্রধানসহ বর্তমানে মোট পাঁচজন অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে শিশু-কিশোরদেরকে সম্পূর্ণ কুরআন মাজিদ সহীহ শুদ্ধভাবে মুখস্ত করিয়ে হাফেজে কুরআন বানানো হয়। এর সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় মাসাইলও শিক্ষা প্রদান করা হয়।

কিতাব বিভাগ-অত্র বিভাগটি জামি’আর পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষাক্রমের ক্লাশ পদ্ধতিতে আরবী প্রথম শ্রেণী থেকে তাকমীল তথা দাওরায়ে হাদিস (মাষ্টার্স) পর্যন্ত পাঠ্যসূচী অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে কুরআন-হাদিস, ফিকাহ, তাফসীর, আকাইদ, আরবী সাহিত্য, নাহু-ছরফ (আরবী ব্যাকরণ) বালাগাত, মানতিক, ফালসাফা ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী করে বিজ্ঞ আলেমরূপে গড়ে তোলা হয়। এ বিভাগে অষ্টম শ্রেণীমানের বাংলা, অংক, ইংরেজী ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় বিষয়াবলী শিক্ষা দেয়া হয়। অত্র বিভাগে শিক্ষকতার মহান দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী।

আদব বিভাগ-আরবী ভাষা একটি জীবন্ত সজীব ভাষা, কুরআন হাদীসের ভাষা হওয়ায় এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বর্ণনাতীত। তাছাড়া বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয়, আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে এই ভাষায় বুৎপত্তি অর্জন এখন সময়ের দাবী। কুরআন-হাদীসের ভাষা শৈলী এবং বর্ণনা মাধুর্যতা অনুধাবন করে করে বিশাল জ্ঞান সমুদ্র থকে মণি-মুক্তা আহরণ করা এবং বক্ততা, লিখনী ও সাহিত্য চর্চায় যুগোপযোগী বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন গড়ে তোলার মহান লক্ষ্য নিয়ে অত্র জামিয়ায় ১৪৩৮-৩৯হি. শিক্ষাবর্ষ হতে উচ্চতর আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ চালু রয়েছে।

ফতওয়া ও ফারায়েজ বিভাগ-মুসলমানদের দৈনন্দিন সমস্যাবলীর শরিয়তসম্মত সমাধান দেওয়ার জন্য সুযোগ্য মুফতী সাহেবদের তত্ত্বধানে এ বিভাগটি পরিচালিত হয়। যারা বিভিন্ন বিষয়ের উপর মাসলা-মাসাইল এবং ফতওয়া জানতে চান, তাদের জন্য জামিয়ার ইফতা বিভাগ হতে মুফতী সাহেবদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর লিখিতভাবে ফতোয়া প্রদান করা হয়। এছাড়া এ বিভাগে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্নকারী মেধাবী ছাত্রদের উচ্চতর ইসলামী আইন ও গবেষণা বিভাগে বিশেষায়িত কোর্স সমাপ্তির শেষে মুফতী ডিগ্রী প্রদান করা হয়।

তাফসীরুল কুরআন প্রশিক্ষণ কোর্স-এ বিভাগে প্রতি বছর রমজান মাসে ভারত উপমহাদেশের সর্বপ্রথম সিহাহ-সিত্তার দরস দানকারী (মুসনিদুল হিন্দ) শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলভী (রহ.) এর ধারাবাহিকতায় মুজাহিদে বাঙ্গাল হযরত মাওলানা শামসুদ্দিন কাসেমী (রহ.) প্রতি রমজানে এর দরস দিয়ে আসছিলেন। ইনশাআল্লাহ অত্র জামিয়ায় প্রতি রমজানে এই দরস চালু থাকবে। এই সংক্ষিপ্ত তাফসীর কোর্সের বৈশিষ্ট হল, আধুনিক বিশ্বে ইসলামের সার্বজনীন দাওয়াত পেশ করার যোগ্যতা অর্জনের সাথে সাথে বাতিল ফিরকা ও মতবাদ সমূহ তথা শিয়া, কাদিয়ানী, বাহাই সাহাবা দুশমনসহ সকল মতবাদের উপর সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া। বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদরাসা হতে শিক্ষা সমাপনকারী উলামায়ে কিরাম ও প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ তাফসীরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আলেমগণ অধিকতর যোগ্যতার সাথে নিজ নিজ এলাকায় দ্বীনি দাওয়াত পালনে সক্ষম হবেন।

ক্বেরাত বিভাগ-দাওরায়ে হাদীস ফারেগীন ছাত্রদের ক্বেরাতের উপরে পারদর্শী করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এ বিভাগ চালু করা হয়। দক্ষ ক্বারী সাহেবগণের মাধ্যমে এ বিভাগ পরিচালিত হয়।

শাইখুল ইসলাম ছাত্র সংসদ পাঠাগার-জামিয়ার শিক্ষাক্রমে নির্ধারিত কিতাবসমূহ অধ্যায়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে বহুমূখী জ্ঞাণ আহরণের সুযোগ লাভ করতে পারে, সে উদ্দেশ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্বলিত বই-পুস্তক ও পত্র-পত্রিকা সমূহে সমৃদ্ধ একটি ছাত্র পাঠাগার রয়েছে। এখান থেকে ছাত্ররা নিজ নিজ প্রয়োজনীয় বই-পুস্তক সংগ্রহ করে অধ্যায়ণ করেন।

মাসিক দেওয়ালিকা-অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মতান্ত্রিক লেখা-পড়ার সাথে সাথে বাংলা ও আরবী ভাষায় পারদর্শীতা অর্জনের মাধ্যমে রুচিশীল সাহিত্য চর্চার জন্য প্রতি মাসে ছাত্রদের উদ্যোগে “আল-খাদিম” নামক বাংলা, আরবী ও উর্দুতে তিনটি দেওয়ালিকা বের হয়। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে এর মাধ্যমে স্ব-রচিত প্রবন্ধ, কবিতা ইত্যাদি প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

বক্ততা প্রশিক্ষণ মজলিস-কুরআন-হাদিসের জ্ঞান অর্জনের পর সর্ব সাধারণের মাঝে দ্বীনি দাওয়াতের ব্যাপক প্রসারের যোগ্যতা অর্জনের জন্য ছাত্রদের বাকশক্তি প্রস্ফটিত করার লক্ষ্যে জামিয়ার সপ্তাহিক বক্ততা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সমাপন করে লোক সমাজে যে কোন বিষয় সুন্দর সাবলীল ও প্রঞ্জল ভাষায় ব্যক্ত করতে পারে।

এতীমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-জামিয়ার অধীনে একটি এতীমখানা আছে। ধনী ও বিত্তবানদের ছেলেদের সাথে সাথে সমাজের দারিদ্র-অসহায়, এতিম, মিসকীন ছেলেরাও যেন দ্বীনি শিক্ষার সুযোগ লাভে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য তাদের লেখা-পড়ার সাথে সাথে থাকা-খাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছদ-ঔষধপত্রসহ যাবতীয় ব্যয়ভার জামিয়ার পক্ষ থেকেই বহণ করা হয়ে থাকে। জামিয়ার বহুবিধ পরিকল্পনা এখনো স্থান, ভবন ইত্যাদির অভাবে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছে না।

জামিয়ার সিলেবাসের মূলভিত্তি-কুরআন, হাদীস, তাফসীর, ফিক্বাহ, কালাম, সীরাত, ইতিহাস, তাহযীব। আরবী ও বাংলা সাহিত্য। অংক, ভূগোল, সমাজ। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ও মতবাদের অধ্যায়ণ। নেক আমল ও উন্নত চরিত্র গঠনের প্রশিক্ষণ। বাক ও লেখনী শক্তির উন্মেষ সাধনের অনুশীলন। দাওয়াত ও তাবলীগের কাজের মশক। সমাজ সেবা ও জনকল্যাণমূলক কাজের প্রশিক্ষণ।

জামিয়ার হিসাব বিভাগ-জামিয়ার হিসাব বিভাগের অধীনে একটি হিসাব শাখা রয়েছে। এখানে দৈনন্দিন ছাত্রদের বোর্ডিং এর বাজারসহ অন্যান্য কেনা-কাটার আয়-ব্যয়ের হিসাব বোর্ডিং ম্যানেজার কর্তৃক হিসাব শাখায় জমা করা হয় এবং আপনাদের পক্ষ থেকে সাধারণ দান-অনুদান, বদরী ৩১৩ রেজিষ্ট্রার অনুযায়ী সদস্যদের বাৎষরিক চাঁদা এন্ট্রি দেওয়া, যাকাত, ফেৎরা, মান্নত, কাফ্ফারা, সাদকা ও এককালীন দানের অর্থ খাতওয়ারী হিসাব কাগজে কলমে তথা মেনুওয়ালী ও (Tally.ERP9) একাউন্টিং সফট্ওয়্যার মাধ্যমে সংরক্ষণ করার পর পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি তথা কোষাধ্যক্ষ (মাদরাসা) দৈনিকের আয় ও ব্যয়ের জমা খরচ এর বিল ভাউচার সমূহ ক্যাশ ও লেজারের সহিত মিলিয়ে আভ্যন্তরীন অডিট সম্পূর্ণ হওয়ার পর মাদরাসা ও মসজিদ কমপ্লেক্স এর সাধারণ সম্পাদক মহোদয় প্রত্যেকটি বিল ভাউচারে সীল সহী প্রদান পরবর্তী যাবতীয় তথ্য উপাত্ত বাৎষরিক অডিটের জন্য গুছিয়ে রাখা হয়। যাহা প্রতি বছর হিজরী অর্থ বছর অনুযায়ী অডিট করানো হয়। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করেন M.N.ISLAM & CO Chartered Accountants. 123/4, Tejkunipara.Tejgaon, Dhaka. Phone: 9113528 এবং ২০১৯ সাল হতে ২০২৫ ইং সাল পর্যন্ত অডিট কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত আছেন- মাহফেল হক এন্ড কোং চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস, বিজিআইসি টাওয়ার, ৩৪ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ ফোন-৯৫৮১৭৮৬ । ১৯৮৫ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অডিট প্রতিবেদন জামিয়ার হিসাব শাখায় সংরক্ষিত আছে।

জামিয়ার দৈনন্দিন আমলসমূহ-বাদ ফজর-সূরা ইয়াসীনের আমল, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত এবং ইশরাকের নামায আদায়। বাদ আছর-খতমে খাজেগান, ফাজায়েলে আমল থেকে তা’লীম, কুরআন শরীফের একটি আয়াতের বিশুদ্ধ তরজমা অতঃপর ১০ মিনিট আমলী আলোচনা। বাদ মাগরিব ও এশা-৬ রাকাত আওয়াবিন এবং বিতরের নামাযের পূর্বে ৪ রাকাত তাহাজ্জুদের নামায আদায় অতঃপর সূরা ওয়াক্বিয়া ও সূরা মূলক তিলাওয়াত।

জামিয়ার সাপ্তাহিক আমলসমূহ-সালাতুত তাসবীহ এর নামায আদায় ও সূরা কাহাফ তিলাওয়াত। আসর নামাযের পর স্বস্থানে বসে নিম্নে বর্ণিত দুরূদ ৮০ বার পাঠ করা। দূরূদঃ- আল্লাহুম্মা ছল্লি আ’লা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়াআলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা। 

বৃহস্পতিবার-মাগরিব বাদ মাদরাসার নীচ তলায় অফিস কক্ষে ইসলাহী মজলিস, হালকায়ে যিকির ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

জামিয়ার ব্যাংক একাউন্ট সমূহঃ-বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-স্টাফ কলেজ ব্রাঞ্চ, মিরপুর, কাফরুল, ঢাকা A/C No: 41210210002063 ২। আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিঃ  A/C No: 0741120017678

ইভেন্টসমূহ

লক্ষ্য ও আদর্শ অনুযায়ী জামিয়ায় বর্তমানে নিম্নোক্ত বিভাগসমূহ সূচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে

  • প্রাইমারী-মক্তব বিভাগ
  • হিফজুল কুরআন বিভাগ
  • কিতাব বিভাগ
  • ফতওয়া ও ফারায়েয বিভাগ
  • তাফসীরুল কুরআন প্রশিক্ষণ কোর্স
বিস্তারিত

313

বদরী কাফেলা


50

শিক্ষক ও কর্মচারী


400

শিক্ষার্থী


34

বছরের অভিজ্ঞ

হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)

মুহাজির

হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)

মুহাজির

হযরত উসমান ইবনে অফফান (রা.)

মুহাজির

হযরত আলী ইবনে আবী তালিব (রা.)

মুহাজির

মতামত

জামিয়া আরাবিয়া খাদিমুল ইসলাম মাদ্রাসা

মিরপুর-১৩, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ।

মোবাইল:01752477449

মাদরাসার পক্ষ থেকে

সবাইকে স্বাগতম

১২ বছর এই ঢাকারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘মিরপুর’। বৃহত্তর মিরপুরের ১৩ নং সেকশন টিনশেড কলোনী এলাকায় আপন ঐতিহ্য নিয়ে স্বগৌরবে জামিয়া আরাবিয়া খাদিমুল ইসলাম (মাদরাসা) অবস্থিত।

ভিডিও গ্যালারী